দুষ্টু বাঘ ও লোভী পথিক
এক ছিল বুড়ো বাঘ। বয়স বেড়ে যাওয়ায় সে আর বনে বনে ঘুরে পশু শিকার করে খেতে পারত না। তাই সে কৌশলে মানুষ ধরে খাবার কথা ভাবল। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে একটা সোনার হার হাতে নিয়ে দুষ্টু বাঘ একটা বড়ো পুকুরের ধারে বসে রইল। এমন সময় এক পথিক সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। সে ছিল খুব লোভী। বাঘ তাকে ডেকে বলল, “জীবনে অনেক পাপ করেছি, তাই বন্ধু পথিক আমি আর প্রাণী হত্যা করতে চাই না। এক সাধুর উপদেশ অনুযায়ী এই সোনার হারটি তোমায় দান করে আমি পুন্য সঞ্চয় করতে চাই। তুমি ভয় পাচ্ছো নাকি? শোনো আমার দাঁত পড়ে গেছে, নখ ভোঁতা হয়ে গেছে, তাই আমাকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। দুষ্টু বাঘের কথা শুনে লোভী পথিক তার কথা বিশ্বাস করল। সে সোনার হার পাবার লোভে বাঘকে বলল, তোমার কাছে যাব কী করে? সামনে যে বিশাল একটা পুকুর। বাঘ তখন তাকে বলল, তোমার কোনো ভয় নেই তুমি জলের উপর দিয়েই হেঁটে চলে এসো। কারন এখানে খুব অল্প জল আছে। পথিক বুড়ো দুষ্টু বাঘের কথা বিশ্বাস করে পুকুরের জলের উপর দিয়ে হাঁটতে লাগলো। জলের তলায় ছিল কাদা। পথিক সেই কাদায় আটকে গেল। যেই না পথিক কাদায় আটকে গেল বাঘ তখন তাকে বলল, দাঁড়াও দাঁড়াও আমি তোমাকে উদ্ধার করছি। এরপর বাঘ পথিকের কাছে গেল আর তার ঘাড় মটকে মেরে ফেলল।